মাথা থেকে চুল পড়বে স্বাভাবিক । তবে এই চুল পড়া যদি অতিরিক্ত হয় তবে তা সমস্যার কারণ।
যুক্তরাষ্টের স্বাস্থ্য-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে লেখা হল।
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন: খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন বা বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান খাবার থেকে বাদ পরে যায় । শরীরের প্রতি কেজি ওজনের ভিত্তিতে প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়।
প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। চুল ভালো রাখার অন্যতম চাবিকাঠি হল প্রোটিন গ্রহণ। কারণ চুলের গোড়া প্রোটিন দিয়ে তৈরি। চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল প্রোটিনের স্বল্পতা।
ভিটামিনের স্বল্পতা: ভিটামিন বি-১২ ও ডি’য়ের স্বল্পতার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই দুই উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে ও মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মাংস ও দুধের তৈরি খাবারে ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করা যেতে পারে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ: অনেক নারী আছেন যারা নিয়ন্ত্রণ করুন পিল বা বরি খেয়ে থাকেন যা চুলের উপর প্রভাব পরে । বেশিরভাগ বড়িতে প্রোজেস্টেরন থাকেআর এই প্রোজেস্টেরন চুল পড়ার অন্যতম কারণ। তাই এই ধরনের ওষুধ নির্বাচনের আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয়, এতে চুল পড়ার সমস্যা হয়। গবেষকদের মতে, এই সময় চুল পড়া খুব স্বাভাবিক। তবে স্থায়ী চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে চিন্তার বিষয়। সাধারণত, সন্তান জন্মদানের সাধারণত তিন - চার মাসের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা আর থাকে না।
চুল বাঁধার ধরন: অনেক সময় চুল বাঁধার ধরণ ও চুল পড়ার জন্য দায়ী । উঁচু করে খোঁপা করা বা পনিটেইল অনেক সময় চুলের ক্ষতি করে। তাই চুল খুব বেশি শক্ত করে না বাঁধাই ভালো।
চুলের ‘ট্রিটমেন্ট’: চুল রিবন্ডিং করা, রং করা, স্টাইলিংয়ের মাধ্যমে চুলের স্বাভাবিক ধরনের পরিবর্তন করা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। চুলে যতটা সম্ভব কম রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত।
Post a Comment