বাংলাদেশের বিখ্যাত কয়েকটি হোটেল


hotel


পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এবং ব্রাহ্মণ প্রেমীদের সেবা দিতে ঢাকা শহরে গড়ে উঠেছে অনেক উন্নত মানের হোটেল।রাজধানীর এসব হোটেলে গ্রাহকদেরকে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেওয়া হয়। এসব হোটেল রাজধানী ভিত্তিক হওয়ায় এখানে আবাসিক এবং ফাইভস্টার সহ বিভিন্ন নামিদামি হোটেল এখানেই পাওয়া যায়। তাই পর্যটকদের ভালোলাগা এবং হোটেলের ধরন  বিবেচনা করে আজকে আপনাদের সাথে রাজধানীর কয়েকটি হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

১. হোটেল সোনারগাঁও

বাংলাদেশের যতগুলো পাঁচতারকা হোটেল আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হোটেল সোনারগাঁও। আন্তর্জাতিকমানের এই হোটেলটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন অবস্থায় আছে। এই হোটেলটি গড়ে ওঠে ১৯৭৭ সালে। এবং হোটেলের যাত্রা শুরু থেকেই তারা আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিয়ে থাকে। জিম সুইমিংপুল সহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে এই হোটেলে। সেবার মান ভালো হওয়ায় ট্রেনটি বর্তমানে গ্রাহকদের আকর্ষণ করেছে। এখানে রয়েছে বিলাসবহুল অনেক কক্ষ এবং প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ৭০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। 


হোটেলের ঠিকানা: কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ ১০৭ নং ঢাকা ১২১৫। 

২. রেডিসন ব্ল ওয়াটার গার্ডেন


বিলাসবহুল অবস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানে রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোস্টেল পর্যটকদের আকর্ষণ তালিকায় শীর্ষে। হোটেলটির নকশা এবং কারুকার্য দেখেই পর্যটকদের মন বয়ে যায়। 
এটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর নিকটে হওয়ায় বিমানবন্দরের গ্রাহকদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত একটি হোটেল। ক্লাব ও স্পা সার্ভিস সহ গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ক্যাফে , জিম ও  নানারকম সুবিধা। এখানে প্রতিটি সুপেরিয়র রুমের ভাড়া ১৫ হাজার  টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন ক্লাস রুমের ভাড়া হবে ১৬ হাজার  টাকা। এছাড়া এখানে বিলাসবহুল এক্সক্লুসিভ রুমের ভাড়া ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

হোটেলের ঠিকানা: ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট , এয়ারপোর্ট রোড, ঢাকা ১২০৬। 

৩. দ্যা  ওয়েস্টিন ঢাকা

২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই পাঁচ তারকা হোটেলটি আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান করায় ঢাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হোটেল। নানাবিধ সুবিধা থাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে বহু মানুষের জনপ্রিয় হয়েছে। ভাষা সহজে বোঝার জন্য হয়েছে ট্রান্সলেটর, লোকাল গাইড , সঠিক পর্যবেক্ষণ , ব্যাপক নিরাপত্তা সহ বৈচিত্র্যময় সব সেবা রয়েছে এই হোটেলে। হোটেলটিতে রয়েছে বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য আলাদা কক্ষ। এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির লোক বিভিন্ন শ্রেণীর রুমে নির্দিষ্ট বাড়ায় থাকতে পারে। 
এবং এখানে আনুমানিক ভাড়া দেওয়া হয় ১৫ হাজার থেকে ৩০হাজার টাকা।
 
হোটেলের ঠিকানা: গুলশান ২, রোড নং ৪৫ প্লট নং ১, ঢাকা ১২১২। 

৪. লেকশুর হোটেল। 

১৯৯১ সালে রাজধানীর পাশে গুলশানে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানকারী এই হোটেলটি। উন্নতমানের খাবার এবং খাবার ব্যবস্থাপনা দেশি বিদেশি অতিথিদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য ঘুরে বেড়ানোর সময় থাকার সঙ্গী আকর্ষণীয় এই হোটেল। হোটেলটিতে রয়েছে পর্যটকদের জন্য সাইকেল চালানোর বিশেষ সুবিধা। যার ফলে দেশি-বিদেশী পর্যটকরা সহজেই শহর গুড়ে দেখতে পারে। 
হোটেলটিতে রয়েছে আধুনিক নকশার ৬০ টি কক্ষ।  এখানে ৬ ক্যাটাগরির গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ভাড়া। 
 এই হোটেলটিতে সর্বনিম্ন আনুমানিক ভাড়া ২৪ হাজার  টাকা এবং সর্বোচ্চ বারা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।
 
হোটেলের ঠিকানা : সড়ক নং ৪১, গুলশান ০২, ঢাকা ১২১২।

৫. হোটেল ৭১

হোটেল ৭১ ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বিজয়নগরে অবস্থিত। এই হোটেলটি ২০ তলায় অবস্থিত এবং এটি তিন তারকা বিশিষ্ট। যারা আকর্ষণীয় ডিজাইন পর্যটকদের মন জয় করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্রকর্ম এখানে খুদায়  অবস্থায় সাজানো আছে। এটি ঢাকার অন্যতম একটি হোটেল। 
মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চ শ্রেণীর লোকদের জন্য এখানে থাকার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অনেকগুলো সুইট আছে এবং প্রতিটি সুইটের ভাড়া যথাক্রমে ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এখানে প্রিমিয়াম সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ধরা হয় পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

হোটেলের  ঠিকানা : শহীদ নজরুল ইসলাম সরণি (পুরাতন  বিজয়নগর), কাজিম উদ্দিন টাওয়ার ঢাকা ১০০০। 

৬. হোটেল দি ক্যাপিটাল

ঢাকা শহরে মনোরম পরিবেশে সজ্জিত এই হোটেলটি পর্যটকদের কাছে একটি প্রথম পছন্দের জায়গা। পরিষ্কার পরিছন্নতা, কর্মীদের বন্ধুসুলভ আচরণ এবং এর অবস্থান সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার জন্য পর্যটকরা বর্তমানেই হোটেল অনেক পছন্দ করে। হোটেলটিতে রয়েছে বিশেষ ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা এবং খেলাধুলা করার জন্য মনোরম পরিবেশ। বড় অংকের টাকার লোকের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত বা অল্প টাকার মালিক সেখানে থাকার সুযোগ পাবেন কারণ এখানে অল্প টাকা দেও কিছু থাকার রুম এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসি সংবলিত একটি পারিবারিক রুমের দৈনিক ভাড়া ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। এবং ডাবল রুমের ভাড়া ৩ হাজার  থেকে ৪ হাজার  ঢাকা। এছাড়া নিম্নমানের গ্রাহকদের জন্য রয়েছে নন-এসি যুক্ত রোম যার দৈনিক বারা হতে পারে ১ হাজার থেকে পনেরশো টাকা। 

হোটেলের বর্তমান ঠিকানা: নয়া পল্টন-৬৯, পি,আই ,ভি রোড ,ঢাকা ১০০০। 

৭. হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁ

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকার এক সময়ের জনপ্রিয় হোটেলের মধ্যে একটি হল হোটেল রাজমণি। আধুনিক কারুকার্য এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ সম্বলিত এই হোটেলটি বর্তমানে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা জনপ্রিয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব মিনিবাসের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে ভ্রমণ সেবা দিয়ে থাকে। হোটেলে রয়েছে উন্নতমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং লোকাল গাইড। হোটেলটি অনেক পুরাতন দিনের হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া হোটেল থেকে এখনো উঠে যায় নি। 
এই হোটেলে প্রতিটি ডাবল বেডের ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া হোটেলে রয়েছে কনফারেন্স করার বিশেষ সুবিধা। এখানে কনফারেন্স করার জন্য প্রতিটি রুমের সর্বনিম্ন ভাড়া দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। 

হোটেলের ঠিকানা: কাকরাইল ,পি বি আই রোড ৮৯/৩। 

৮. হোটেল সুন্দরবন

দুই তারকা বিশিষ্ট হোটেল গুলোর মধ্যে ঢাকা শহরের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত একটি হোটেল হচ্ছে হোটেল সুন্দরবন। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আলহাজ্ব কাদের লিমিটেডের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হলো এই হোটেল। গ্রাহকদের রুচিশীল খাবারের কথা ভেবে  হোটেলের নিচতলায় ব্যবস্থা করা হয়েছে মাল্টি কুইজিন রেস্টুরেন্ট। এখানে রয়েছে বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। এবং হোটেলের রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত প্রায় ১০০ এর মত কক্ষ এবং এই কথাগুলোর সাথে আছে বিশেষ এটাস্ট বাথরুম। এখানে প্রতিটি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৪২০০ টাকা এবং ডাবল রুমের ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

হোটেলের ঠিকানা: বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড-১১২, ঢাকা ১২০৫।

পরিশেষে : জনপ্রিয়তা এবং গ্রাহকদের আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে উপরে কয়েকটি হোটেল সম্পর্কে এবং তাদের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে আপনাদেরকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলো ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে যেগুলোর মধ্যে ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post