মোবাইল দিয়ে দিনে ১৪০ টাকা ইনকাম




বর্তমান সময়ে মোবাইল ইনকামের চাহিদা অনেক বেড়েছে তাই যে কেউ চেষ্টা করে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন 

আজকে আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম বলল যে ওয়েব সাইট গুলো থেকে আপনি সহজেই মোবাইল বা কম্পিউটার মাধ্যমে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এগুলো সহজে আপনাকে পেমেন্ট করবে

অনলাইনে ইনকামের সহজ একদম সহজ একটা ওয়েবসাইট হচ্ছে

মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম

বাংলাদেশেও আমাদের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশে কিছু অ্যাপস আছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা মোবাইল দিয়ে লেখাপড়ার খরচ সেও কিছু টাকা ইনকাম করতে পারি। আজ আপনাদেরকে তেমনই কিছু অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করব। 

ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম

আপনার যদি সামান্য মেধা থাকে এবং সেই মেধা খাটিয়ে অনলাইনে লেখালেখি করেন সেক্ষেত্রে আপনি এর বিনিময়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। স্বাস্থ্যবিষয়ক অথবা যে কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে আপনি যখন একটি ওয়েব সাইটে সাবমিট করবেন এবং সেই ওয়েবসাইট যদি কোন বাইরের হয় সে ক্ষেত্রে সেবার আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দেবে যে টাকা আপনি প্রতিমাসে তুলতে পারবেন অথবা দিনের টাকা দিতে পারবেন এটা আপনার পায়ের সাথে চুক্তি হিসেবে ধরা হবে। 

এছাড়া আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার লেখাকে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে ভিজিটর আনতে পারবেন এবং সেই ভিজিট করুন আপনার ওয়েব সাইটে নিয়মিত আসবে এবং আপনার পোস্টগুলো পড়বো তখন আপনি গুগল থেকে একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট নিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়া ইনকাম করতে পারবেন। 

অনলাইনে ব্লগিং করার জন্য আপনার কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না আপনি শুধু ফ্রিতে একটি ব্লগার সাইট তৈরি করবেন এবং সেখানে নিয়মিত
লেখালেখি করবেন। 

এবং আপনার লেখালেখির মন যদি ভাল হয় সে ক্ষেত্রে গুগল থেকে আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আসবে। তবে আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন বসাবেন তখন ভিজিটররা যদি সে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে এবং আপনার বিজ্ঞাপন নিয়মিত দেখে তাহলে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার জমা হবে সেই ডলার ১০০ ডলার হলে আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে তুলতে পারবেন। 

ইউটিউবিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম

আপনার যদি একটি মোবাইল বা কম্পিউটার থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি টেকনোলজি বিনোদনবিষয়ক যেকোন ভিডিও বানিয়ে যদি ইউটিউবে আপলোড দেন তাহলে ইউটিউব আপনাকে সম্মানী হিসেবে প্রতি মাসে টাকা দিবে। তো সে টাকা নেওয়ার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ২০০ভিডিও অথবা তারও বেশি ভিডিও আপলোড দেয়া লাগতে পারে। 

কারণ বর্তমানে ইউটিউবে আপনি যদি গুগল এডসেন্স নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ৪ হাজার  ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাগবে এবং ১০০০+ সাবস্ক্রাইব লাগবে যেটা এক বছরের মধ্যে হতে হবে এবং এটা হলেই আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। 

ইউটিউবে কোন ধরনের কপি কনটেন্ট দেওয়া যাবে না। আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলটি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে এবং তখন আপনি আর এই চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন না। তাই সব সময় ইউনিক এবং নিজস্ব ভিডিও দিয়ে ইউটিউব এর সাথে ইনকাম করার চেষ্টা করবেন। 

সিপিএ মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম

সিপিএ মার্কেটিং হলো অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করার একটা মাধ্যম। এ কাজ করে মাসে আপনি ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। কোন কোম্পানি যদি আপনাকে তাদের নিজস্ব পরাগ বিক্রি করার জন্য আপনাকে হায়ার করে সেক্ষেত্রে আপনি তাদের প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি করবেন এবং সেই বিক্রি হওয়া প্রোডাক্টের কমিশন হিসেবে আপনাকে তারা টাকা দেবে। 

সিপিএ মার্কেটিং এর কোন অনেকটি শাখা আছে আপনি ইলেকট্রনিক পণ্য এর পাশাপাশি ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করেও কাজ করতে পারবেন। সিপিএ মার্কেটিং ফ্রিতে অথবা প্রিমিয়াম এই দুই ভাবে করা যায়। আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি সেখানে প্রোডাক্ট বুস্ট করে বেশি পরিমাণ গ্রাহক আপনার সাইটে আনতে পারবেন এবং তারা আসলে আপনার প্রোডাক্ট বেশি পরিমাণে বিক্রি হবে। 


ওয়েব ডিজাইন করে অনলাইনে ইনকাম

অনলাইনে ইনকামের একটি অন্যতম মাধ্যম ওয়েব ডিজাইন এটা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দক্ষতার একটি কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আপনি যদি প্রোগ্রামিং জানেন অথবা কম্পিউটার সম্পর্কে আপনার ভালো ধারনা থাকে তবে আপনি প্রোগ্রামিং বা ওয়েব ডেভলপমেন্টে উন্নতি সাধন করতে পারবেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারমিডিয়েট এর আইসিটি বই সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। একজন ওয়েব ডেভেলপার অবশ্য শিক্ষিত হতে হবে কেননা আপনার যদি আক্ষরিক জ্ঞান না থাকে বা আপনি যদি ইংলিশ ভালোভাবে লিখতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ওয়েব ডেভেলপার হতে পারবেন না। 

মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করা যায় না তাই আপনাকে ওয়েবডেভেলাপার করার জন্য ভালো মানের একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দরকার হবে। প্রাথমিক অবস্থায় এইচটিএমএল সহ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর বেসিক জ্ঞান জানতে হবে। প্রথমে ওয়েব ডিজাইন এবং পরবর্তীতে ওয়েব ডেভলপমেন্টে আগাতে হবে। 

ওয়েব ডেভলপমেন্টে অনেক ধরনের প্লাগিন বা ফ্রেমওয়ার্ক আছে যেগুলো সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা অর্জন করতে হবে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ফ্রেমওয়ার্ক হলো। লারাভেল, ওয়ার্ডপ্রেস, সিম্ফোনি , কেক পিএসপি ইত্যাদি। 


এসইও করে অনলাইন থেকে ইনকাম


এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। 
আপনি যদি গুগোল সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করে থাকেন সেক্ষেত্রে এসইও করে ইনকাম করা আপনার জন্য সহজ হবে। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি আসিবে ওর জন্য অনেক ধরনের কাজ পাবেন যে কাজগুলো করে আপনি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 


নিজস্ব ওয়েব সাইট বা অন্যদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লেখার সময় আপনি যদি এসইও করে দেন দেখা যাবে যে আপনার লেখালেখির মান ভাল হবে এবং বায়াররা আপনাকে বেশি মূল্যায়ন করবে। 

এসইও হলো একটা ওয়েবসাইট কে গুগলের ফাস্ট পেজে দেখানো। 

বর্তমানে ওয়েবসাইটের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকে একটা বিষয়ে টিটোরিয়াল দিয়ে থাকে এবং আপনিও যদি সেই বিষয়ে লিখে থাকেন সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে যে কার্ডটা গুগোল প্রথমে দেখাবে তা নির্ধারণ করার জন্যই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে। 

যখন একটি ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যাকলিংক, ডোমেইন- রেটিং বেশি হবে তখন ওই ওয়েবসাইটটি অবশ্যই গুগলের প্রথম পেজে দেখানো হবে। একটা ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং সেই বিষয়ে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। 


আপনার ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়াতে হবে পাশাপাশি পেজ রেঙ্ক বাড়াতে হবে। 
অনপেজ এসইও এর পাশাপাশি আপনাকে অফ পেজ এসইও করতে হবে যেটা গুগোল ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে এনালাইসিস করে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইন থেকে ইনকাম

ভালো মানের নকশা ডিজাইন বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে চাহিদা অনেক। আপনি যদি সৃজনশীল কোন কিছু আঁকতে পারেন বা ছবি আঁকার প্রতি আপনার প্রবল আগ্রহ থাকে তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন আপনার জন্য। কারণ এই কাজে আপনাকে সব সময় সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশ করতে হবে। 
নিত্য নতুন ডিজাইন এবং কালার ফুল চিত্র ফুটিয়ে তোলা হবে আপনার কাজ। 

গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই উন্নত মানের একটি কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। 

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাসে কমপক্ষে ৫০হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেস থেকেই। 

এছাড়া অফলাইনে তারা বিভিন্ন দোকানে অফিসে তাদের নিজস্ব ব্যানার সাইনবোর্ড তৈরি করার জন্য আপনাকে হায়ার করে থাকবে। আপনি স্থায়ীভাবে কোন এক দোকানে চাকরি পেতে পারেন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে।

বর্তমানে মার্কেটপ্লেসের পাশাপাশি অফলাইন এবং বিভিন্ন জায়গায় আপনার চাহিদা অনেক বেশি হবে কারণ এই কাজে আগ্রহী ব্যক্তিরা অনেক মেধার অধিকারী হয়ে থাকে আপনাকে যথেষ্ট ধৈর্যশীল হতে হবে এই কাজের জন্য। 


Post a Comment

أحدث أقدم