মানসিক রোগের সঠিক কারণ এখনো খুঁজে না পাওয়া গেলেও বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আমাদের সমাজে মানসিক রোগের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা আছে ।
তবে গবেষকদের মতে তিনটি মূল কারণ মানসিক রোগের সাথে সম্পৃক্ত।
১, বংশগত কারণ
২, মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন
৩, পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব
ব্রেন ইমাজিং ও টমোগ্রাফি পরীক্ষার মাধ্যমে রাসায়নিক পরিবর্তনের প্রমাণ মিলছে ।
এসবের উপর ভিত্তি করে মানসিক রোগের ঔষধ প্রদান করা হয় ।
প্রথম প্রজন্মের মেডিসিন আবিষ্কার করেন ১৯৫০সালে মানসিক রোগের চিকিৎসায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয় ।
তবে পুরনো প্রজন্মের মেডিসিন এর ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক কষ্টকর হওয়ায় হাজার ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের ওষুধের চাহিদা বাড়ে ।
এই দ্বিতীয় প্রজন্মের ওষুধ ব্যবহার করে রোগীরাও স্বাচ্ছন্দে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে
সম্প্রতি জিন থেরাপি নিয়ে বিশেষ বিবেচনা করা হচ্ছে জিন থেরাপি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে এটা সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হয় ।
শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশে অসংখ্য মানসিক রোগী রয়েছে ।
গ্রামের বাসায় এসব রোগীদের কে বলা হয় জিনের আছর ভুতের হামলা যাদু টোনা পাপের ফল ইত্যাদি।
এসব ধারণা মোটেই ঠিক না । আমরা যদি আরেকটু সচেতন হই । পরিবারের রোগী এবং শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখি এবং তাদেরকে স্বাস্থ্যকর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দিতে পারি তবে মানসিক রোগ অনেকাংশে কমে যাবে
লেখকঃ ডঃ মুহাম্মদ জুবায়ের
إرسال تعليق