সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাল-সেকালের ছবি এখন প্রায়ই ভেসে ওঠে। ফেসবুক ব্যবহারের শুরুর আর বর্তমান সময়ের প্রোফাইল পিক দিচ্ছেন অনেকেই। ধরা যাক, একজন আফগান নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি পোস্ট দিতে চান, তাঁর ক্ষেত্রে কেমন হবে ঘটনাটি? হয়তো তিনি সেকালে কর্মস্থলে ব্যস্ততার কোনো ছবি পোস্ট করেছিলেন। আর এখন তাঁকে পোস্ট করতে হবে ঘরে থেকে তালেবাননির্ধারিত পোশাক পরিহিত ছবি। কারণ তালেবান ক্ষমতায় আসার পরে অনেক নারীই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দুটো ছবিই বলে দেবে, পথচলায় সেকালের আফগান নারীর চেয়ে পিছিয়ে পড়েছেন একালের আফগান নারী।
https://mytunes24.com/মেয়েদের-মাথার-চুল-পড়া/ https://mytunes24.com/তাসলিমা-নামের-অর্থ/ https://mytunes24.com/ভালোবাসার-মানুষকে-জন্মদি/ https://mytunes24.com/সিজারের-কতদিন-পর-সহবাস-কর/ https://mytunes24.com/মেয়েদের-কাম-শক্তি/ https://mytunes24.com/প্রাণীর-মাধ্যমে-পরাগায়ন/ https://mytunes24.com/টাইটান-জেল-ব্যবহারের-নিয/ https://mytunes24.com/লিংগ-উত্থান-সমস্যার-ঘরোয/ https://mytunes24.com/মারাল-জেল-ব্যবহারের-নিয়ম/ https://mytunes24.com/হিন্দু-ধর্মে-সহবাসের-নিয/ https://mytunes24.com/দীর্ঘ-সময়-সহবাস-করার-ঔষধ/ https://mytunes24.com/বায়োমেনিক্স-প্লাস/ https://mytunes24.com/কথা-বলার-সঠিক-উপায়/ https://mytunes24.com/কখন-সহবাস-করলে-সন্তান-হয়/ https://mytunes24.com/how-to-check-redmi-official-phone/
১৯৯৬ সালে তালেবান প্রথম আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে। এর আগে কেমন ছিল আফগান নারীদের জীবন? অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক উইলিয়াম পোডলিচ ১৯৬৭ সালে ইউনেসকোর এক প্রকল্পের আওতায় দুই বছরের জন্য কাবুলের টিচার্স কলেজে শিক্ষকতা করেন। তিনি ছিলেন শৌখিন আলোকচিত্রী। সে সময় পোডলিচের তোলা ছবিগুলোয় তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগের আফগান নারীদের জীবনযাত্রার আন্দাজ মেলে। সে সময়ের আফগান নারীরা পাশ্চাত্য পোশাকে অভ্যস্ত ছিলেন। নারী–পুরুষ একসঙ্গে বাসে যাতায়াত করতেন এবং শপিং মলে যেতেন। স্কুল–কলেজে নারীদের পড়াশোনা, গানবাজনা, খেলাধুলার ছবিও উঠে এসেছে পোডলিচের ক্যামেরায়।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে নারীদের জীবনযাপন বদলে যায়। নানা নিয়মের বেড়াজালে অনেকটাই ঘরবন্দী হয়ে পড়েন নারী। নারী স্বাধীনতা কী, তা বোধ হয় সে সময় ভুলতেই বসেন তাঁরা। সে সময় মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ও চাকরি নিষিদ্ধ করা হয়। নারীদের খেলাধুলা ছিল নিষিদ্ধ। বাইরে যেতে হলে পুরো শরীর ঢেকে যেতে হতো তাঁদের। পুরুষসঙ্গী ছাড়া বের হতেও পারতেন না তাঁরা। হত্যা ও ব্যভিচারের সাজা ছিল জনসমক্ষে ফাঁসি।
১৯৯৯ সালে তালেবান শাসনামলে থাকা এক নারীর বর্ণনায় উঠে আসে তাঁদের সে সময়ের কষ্টের জীবনের কথা। ফিব্রা নামের সেই নারীর বয়স এখন ৩২ বছর। থাকেন লন্ডনে। ১৯৯৯ সাল ছিল ফিব্রার শৈশবকাল। ফিব্রারা ছিলেন চার বোন ও এক ভাই। ফিব্রার বাবাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তালেবান। বাবাকে তাঁরা আর ফিরে পাননি। তালেবান শাসনামলে তাঁদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাবার খোঁজ করার সময় মাকেও মারধর ও হুমকি-ধমকি দেয় তালেবান। তালেবান শাসনের পতনের পর ফিব্রাদের পড়াশোনা আবার শুরু হয়। দুই দশক পর তালেবান ফিরে আসায় আফগানিস্তানে থাকা পরিবার নিয়ে এখন আবার উদ্বেগে রয়েছেন ফিব্রা।
২০০১ সালে তালেবান সরকারের পতনের পর নারীদের জীবনে আবারও বদল আসে। শুরু হয় নতুন পথচলা। নারীরা আবার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কর্মক্ষেত্রে বাড়ে নারীদের পদচারণ। সংগীত, চিত্রাঙ্কন ও খেলাধুলায় সাফল্যের ছাপ রাখতে শুরু করেন নারীরা। গণমাধ্যমেও নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বাড়ে। ইউনেসকোর তথ্য অনুসারে, গত বছর আফগানিস্তানে শিক্ষার হার ছিল ৪৩। ২০১৭ সাল থেকে পরের দুই বছরে দেশটিতে শিক্ষার হার বেড়েছে ৮। আফগান নারীদের সাফল্য ও সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সংবাদ উপস্থাপক বেহেস্তা আরঘান্দ।
তালেবানের ক্ষমতা দখলের কয়েক সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানের বার্তা সংস্থা টোলোর হয়ে তালেবানের এক নেতার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে বেহেস্তা বেশ কিছু কড়া কথা বলেছিলেন তালেবান নেতাকে। নারী অধিকার নিয়ে তিনি বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছিলেন ওই তালেবান নেতার কাছে। তবে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর দেশ ছাড়তে হয় বেহেস্তাকে। গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবান সাংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। তাই প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি।
إرسال تعليق